,

সরকার সাহসী বলেই জুয়াবিরোধী অভিযান চলছে: আইনমন্ত্রী

সময় ডেস্ক ॥ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকার সাহসী বলেই ক্যাসিনো ও জুয়াবিরোধী অভিযান চলছে। বিএনপির পক্ষে এমন অভিযান চালানো সম্ভব হতো না। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করছেন, আর বিএনপির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে আছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ইনডেমনিটি আইন এক কালো অধ্যায়, ভুলিনি এবং ভুলবো না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন অভিনেতা আমিরুল হক চৌধুরী, ড. এনামুল হক, আজিজুল হাকিম, মান্নান হীরা, অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, চিত্রনায়ক রিয়াজ, সঙ্গীতশিল্পী শুভ্র দেব, কেরামত মাওলা, চারুশিল্পী সংসদের মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, তানভীর হোসেন জুয়েল, নাজমুল হাসান পলাশ, শতাব্দী ওয়াদুদ, শ্যামল জাকারিয়া প্রমুখ। আলোচনার শুরুতেই ইনডেমনিটি আইন বিষয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন উক্তি পাঠ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিএনপির উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপির লোকেরা ক্যাসিনো নিয়ে অনেক বেশি সোচ্চার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস আছে অন্যায়কারীদের ধরার, সে যে দলেরই হোক। তিনিই পারেন বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে। যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, তাদের বাদ দেওয়ার সাহস বিএনপির নেই। দলের আরেকজন যিনি দুর্নীতির কারণে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পলাতক, তাকে দুটো গালিও দিতে পারে না বিএনপি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান ও মোশতাক চেয়েছিলেন, বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হোক। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর দায়মুক্তি অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, প্রত্যেক বছর ২৬ সেপ্টেম্বরকে কালো দিবস হিসেবে পালন করতে হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সেই দিবস পালন করা এবং শেষ হবে ১২ নভেম্বর। কারণ ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর ইনডেমনিটি আইনটি বাতিল করা হয়। এর আগে, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর